হাওজা নিউজ এজেন্সি: আল মায়াদিনের খবরে বলা হয়েছে, ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার ভেতরে অত্যন্ত নিখুঁত ও পরিকল্পিত একটি অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র ও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একে ইরাকের গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবিরোধী সক্ষমতায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (MOI) অধীন সিকিউরিটি মিডিয়া সেলের (SMC) প্রধান এবং সম্পর্ক ও তথ্য বিভাগের পরিচালক মেজর জেনারেল সাদ মা’আন জানান, আটককৃত দুই ব্যক্তি ইরাক সীমান্তের দিকে অস্ত্র ও সন্ত্রাসী যোদ্ধা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে “গুরুত্বপূর্ণ ও কেন্দ্রীয় ভূমিকা” পালন করছিল।
তিনি বলেন, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে পরিচালিত নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারি ও অনুসন্ধানের ফলেই এ অভিযান সম্ভব হয়েছে। এ সময়ে ইরাকের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সন্দেহভাজনদের চলাচল, যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। অভিযানে ‘সুকুর (হকস) সেল’ নামে পরিচিত একটি বিশেষ গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি এবং মানব গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয় ব্যবহার করে।
মেজর জেনারেল মা’আন জানান, আটক ব্যক্তিরা সিরিয়ার অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন শিবির থেকে অস্ত্র ও সন্ত্রাসী সদস্যদের ইরাকি ভূখণ্ডে পাঠানোর সমন্বয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল, যা ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছিল।
অভিযানটি একটি বিশেষ এয়ার-মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা দ্রুত মোতায়েন ও শত্রু-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিখুঁত অভিযান চালাতে সক্ষম। এর ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং সন্দেহভাজনদের পালানোর সুযোগও রুদ্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমেই এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এটি ইরাকের নিরাপত্তা কৌশলে একটি স্পষ্ট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়—যেখানে প্রতিক্রিয়াশীল সংকট মোকাবিলার পরিবর্তে গোয়েন্দাভিত্তিক ও আগাম সন্ত্রাস দমন কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
জেনারেল মা’আনের ভাষ্য অনুযায়ী, এই অভিযান ইরাকের সীমান্তের বাইরে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা এবং ইরাকি ভূখণ্ডে প্রবেশের আগেই সন্ত্রাসী সরবরাহ পথ ধ্বংস করার ক্ষমতার প্রতিফলন। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতায় ইরাক একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
আপনার কমেন্ট